নভেম্বর ২৫, ২০২৪

সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতের আগমনী বার্তা

ছবি: প্রতিনিধি
ছবি: প্রতিনিধি

প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে কার্তিক মাস। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মিলেই চিরায়ত হেমন্তকাল। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ধীর পায়ে প্রকৃতিতে আসে হেমন্ত। আর হেমন্তের শুরুতেই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) সকালের ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। দিনে গরম থাকলেও রাতে ও ভোরে হালকা শীত অনুভব হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত ও ভোরের দিকে ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়‌লে তাপমাত্রা বৃ‌দ্ধি পায়।

রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন, স্বাধীনতা স্মারক, মূল ফটক, ক্যাফেটেরিয়া, প্রশাসনিক ভবন, মসজিদ ইত্যাদি রাতভর বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে ঝরতে থাকা কুয়াশায় ভিজে গেছে। গাছের পাতা আর ঘাসের ওপর থেকে ঝরছে শিশিরবিন্দু।

ক্যাম্পাসে দেখা মেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীর। তারা প্রায় ক্যাম্পাসে হাঁটতে আসেন। তাদের কয়েকজনের সাথে গল্প হয়।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজ হোসেন বলেন, উত্তরে একটু আগেই শীত আসে। সেক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিক্রম নয়। হেমন্তের আগে শরতেই কুয়াশা আর হালকা শীত পড়তে শুরু করে। এখন দিন যাচ্ছে আর শীত আসতেছে। এই কুয়াশাচ্ছন্ন ক্যাম্পাসে হাঁটতে এক অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে।

জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের আনিকা তাসকিন বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে শীতের আগমন সবসময়ই একটি বিশেষ আবহ নিয়ে আসে। উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চল জুড়ে শীতের প্রভাব যথেষ্ট স্পষ্ট এবং গভীর। ক্যাম্পাসে হিমেল হাওয়া জানান দিতে শুরু করে শীতের আগমনকে। ছায়াময় সবুজ ক্যাম্পাস হিমের পরশে যেনো আরও মায়াময় হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদার মাঠগুলিতে সকালের কুয়াশা আচ্ছন্ন করে রাখে চারপাশকে। সকালবেলা কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ যখন ক্যাম্পাসের সবুজ গাছপালায় পড়ে, তখন একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের অবতারণা হয়।

তিনি আরও বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতের আগমন কেবলমাত্র একটি ঋতুর পরিবর্তন নয়, এটি একটি অনুভূতি—যা শিক্ষার্থীদের মনের ভেতর ঋতুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার আনন্দের সাথে মিশে থাকে।

একজন দর্শনার্থী বলেন, সকালে বের হয়ে অন্যরকম মনে হয়েছে। চারদিকে সাদা কুয়াশা দেখে মনে হয়েছে শীতের দিন চলে এসেছে। শিশির ভেজা সকালে হাঁটাহাঁটি করতেও ভালো লাগে।