ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকার গভীর নিম্নচাপের কারণে সৃষ্টি হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এটি ক্রমশ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কি.মি. ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৭টায় ৯ নং বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দানার অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের স্বদ্বীপ উপকূল অতিক্রম করে। সে সময় এর গতিপথের ডানদিকেই ছিল বাংলাদেশের উপকূল।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় এর ওপরের বাতাসের গতিবেগ ও ভূপৃষ্ঠের গতির পার্থক্য বেশি থাকলে এর শক্তি কম হয়। তবে পার্থক্য কম থাকলে শক্তি বেশি হয়।
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ডানা যদি উপকূল অতিক্রম করার জন্য দীর্ঘসময় নেয়, তবে এর প্রভাবও দীর্ঘসময় ধরে অনুভ‚ত হবে। আবার বাতাসের গতিবেগ তখন কেমন আছে, তার ওপরও বাংলাদেশের উপকূলে এর সম্ভাব্য প্রভাব নির্ভর করবে।