![](https://i0.wp.com/risingcumilla.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?w=800&ssl=1)
জুলাই আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতাদের মনোভাব জানার জন্য পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ মুদ্রিত বা ছাপা পত্রিকা পড়েন না, খবর জানতে মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণের খবর বেশি পড়েন পাঠকরা। ৫৯% মানুষ মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণে খবর পড়েন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গণমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে এ ধরনের জরিপ বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
জরিপে অংশ নেওয়া ৭৩% মানুষ জানায়, তারা ছাপা পত্রিকা পড়েন না। কারণ হিসেবে ৪৬% মানুষ জানিয়েছেন, তারা খবরের কাগজ পড়ার প্রয়োজন মনে করেন না।
টেলিভিশনের খবর দেখেন না জরিপে অংশ নেওয়া ৫৩% এর বেশি মানুষ। তবে ৬৫% মানুষ জানিয়েছেন, তারা টেলিভিশনে অন্যান্য অনুষ্ঠান দেখেন।
এ বছরের ১ থেকে ৭ জানুয়ারি দেশের ৬৪ জেলায় ৪৫ হাজার খানা (হাউসহোল্ড) থেকে ১০ বছরের বেশি বয়সীদের কাছ থেকে উত্তর সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে গণমাধ্যমের বিস্তার, মানুষের সংবাদ গ্রহণের অভ্যাসের পরিবর্তন, গণমাধ্যমের ওপর মানুষের আস্থা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে।
৫৯% উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তারা মুদ্রিত খবরের কাগজ না পড়লেও মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণ দেখেন। কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাবে পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ দেখেন বলে জানিয়েছেন ২.৫% উত্তরদাতা।
সামগ্রিকভাবে ৮৮% উত্তরদাতা জানান, তারা গণমাধ্যমের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের হার ৭%। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে খবরের জন্য ৩১% উত্তরদাতার আস্থা রয়েছে ফেসবুকে। এরপর ইউটিউবে ১৬.৫%।
জরিপে বলা হয়, সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যমের ওপর মানুষ আস্থা হারাননি। তবে রাজনৈতিক, সরকারি ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হিসেবে দেখছেন তারা।
এছাড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জরিপের তথ্য উল্লেখ করে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় দুর্যোগ বা সংকটে তথ্য খোঁজার জন্য এখনও মানুষ চোখ রাখেন টেলিভিশনের পর্দায়। তবে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে রেডিওর প্রাসঙ্গিকতা তলানিতে। ৯৪% মানুষ জানিয়েছেন তার রেডিও শোনেন না।