
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ডিগ্রী না থাকা সত্ত্বেও নিজেকে ‘ডাক্তার’ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করায় রিপন চন্দ্র দে নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে তার পরিচালিত অবৈধ ‘মিলন মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গল্লাক বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রিপন চন্দ্র দে তার নিজ বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে ‘মিলন মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানটির কোনো ধরনের সরকারি অনুমোদন ছিল না। সবচেয়ে alarming বিষয় হলো, এখানে কোনো ডিগ্রিধারী চিকিৎসক, দক্ষ নার্স, ল্যাব সহকারী বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান কেউই ছিলেন না। তা সত্ত্বেও নিয়মিতভাবে এখানে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় পরীক্ষা, চিকিৎসাসেবা এবং এমনকি জটিল অস্ত্রোপচার কার্যক্রমও চালানো হচ্ছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল। তিনি বলেন, “রিপন চন্দ্র দে একজন ডিগ্রিবিহীন ব্যক্তি, অথচ নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। তার প্রতিষ্ঠানটিও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। এ ধরনের ভুয়া চিকিৎসা কার্যক্রম মানুষের জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।”
ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল আরও জানান, অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমন ভৌমিক এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটওয়ারী।