সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঘরমুখো মানুষের ঢল, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

রাইজিং ডেস্ক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট/ছবি: সংগৃহীত

শারদীয় দুর্গাপূজার টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গ্রামের পথে মানুষের ঢল নেমেছে। আর এই বিপুল সংখ্যক যানবাহনের চাপে প্রধান দুটি সড়ক— ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ও দীর্ঘ যানজট, যা ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ বহুগুণ বাড়িয়েছে।

যানজটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের চিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ। জানা গেছে, সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। এই অংশটি কার্যত স্থবির হয়ে আছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, সড়কে যানজটের মূল কারণ হলো— বৈরী আবহাওয়া ও পূজার ছুটির কারণে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ির চাপ। এতে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

যাত্রীরা তাদের চরম দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন। সাধারণ দিনে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে যেখানে আধা ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে আজ তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। যাত্রী তানিয়া আক্তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “প্রতি বছর পূজার ছুটিতে আমরা গ্রামে যাই। কিন্তু এ বছর যানজট এত ভয়াবহ যে, কখন পৌঁছাতে পারব সেটি নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।”

এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও একই চিত্র:

শুধু চট্টগ্রামমুখী সড়কই নয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও দেখা গেছে একই ধরনের যানজট ও ধীরগতি। এই সড়কের ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার অংশে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে ও থেমে থেমে এগোচ্ছে।

বাসযাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, “সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ সকাল থেকে রওনা হয়েছি, এখনো নরসিংদী পার হতে পারিনি।”

একই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে, আর মালিকদের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, ছুটির চাপের সঙ্গে বৈরী আবহাওয়া যুক্ত হওয়ায় সড়কে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী আরও বলেন, “আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। তবে গাড়ির চাপ অনেক বেশি হওয়ায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। একাধিক টিম কাজ করছে, আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”

আরও পড়ুন