দেশের অন্যতম বৃহত্তম পর্যটন মেলা বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার-২০২৪ (বিটিটিএফ) আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এই মেলার আয়োজন করছে দেশের পর্যটনশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. আনোয়ার হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন টোয়াব সভাপতি এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির সদস্য শিবলুল আজম কোরেশী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা, তবে ছাত্র-ছাত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মেলায় প্রবেশ উন্মুক্ত থাকবে।
মেলার প্রেক্ষাপট ও সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরে আনোয়ার হোসেন বলেন, এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং এফবিসিসিআই।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইনস, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার, হসপিটাল প্রদর্শক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে।
টোয়াব পরিচালক বলেন, মেলায় তিনটি হলে ১২টি প্যাভিলিয়নসহ ১৪৬টি স্টল থাকবে। মেলায় সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে থাকবে বি টু বি সেশন, সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল ডিসকাসন। এ ছাড়া মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়া থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র পুরস্কার।
টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, টোয়াব বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন এবং বিটিটিএফ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় পর্যটন মেলা। পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর টেকসই উন্নয়ন এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে এবারের পর্যটন মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটনশিল্পসংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। এই মেলা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মেলার হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনী নায়ার, মেলার হসপিটালিটি পার্টনার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকার ডাইরেক্টর অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ফারিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী, হসপিটালিটি পার্টনার রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর শাহিদ হামিদ।