
পবিত্র রমজান মাস হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক বিশেষ সময়। এই মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুসলিমরা নিজেদের পাপ মুছে ফেলে এবং আত্মশুদ্ধি অর্জন করে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার বা হিজরি বর্ষপঞ্জি মূলত চাঁদের গতিবিধি অনুসরণ করে নির্ধারিত হয়। প্রতিটি মাস শুরু হয় নতুন চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে। এ কারণেই প্রতি বছর রমজান মাস ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ১০ থেকে ১১ দিন এগিয়ে আসে।
মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যোতির্বিদরা ধারণা করছেন যে, ২০২৬ সালের রমজান মাস শুরু হবে ১৭ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার।
রমজান মুসলিমদের জন্য একটি বড় নেয়ামত। কারণ বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে রোজার অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়। কখনও গ্রীষ্মের দীর্ঘ ও গরম দিনে, আবার কখনও শীতের দিনে রোজা রাখার সুযোগ হয়।
রমজান মাস আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, ধৈর্য এবং আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা শেখায়। প্রতিটি রোজা আমাদেরকে আল্লাহর আরও কাছে নিয়ে যায় এবং আমাদের ঈমানকে শক্তিশালী করে। ২০২৬ সালের এই রমজান আমাদের সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক, এটাই প্রত্যাশা।