সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বেড়েছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ

রাইজিং ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে, জুলাই ও আগস্টে, বাংলাদেশকে বৈদেশিক ঋণ ও সুদ পরিশোধ বাবদ মোট ৮ হাজার ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। এই ব্যয় গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

ইআরডি জানিয়েছে, চলতি দুই মাসে মোট ব্যয়ের মধ্যে ৫ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা ছিল বৈদেশিক ঋণের আসল পরিশোধ, এবং ২ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা গেছে সুদ পরিশোধ বাবদ।

তুলনামূলকভাবে, গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) একই সময়ে বৈদেশিক ঋণের আসল পরিশোধ হয়েছিল ৪ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা, এবং সুদ পরিশোধ হয়েছিল ২ হাজার ৫১ কোটি টাকা।

তবে আশার কথা হলো, একই সময়ে নতুন বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে মোট প্রতিশ্রুতি এসেছে ৭৫ কোটি ডলার, যার মধ্যে ২৩ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার হলো ঋণ প্রতিশ্রুতি এবং ১ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ডলার হলো অনুদান প্রতিশ্রুতি।

এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। উল্লেখ্য, গত বছর এই সময়ে বৈদেশিক ঋণের কোনো নতুন প্রতিশ্রুতি আসেনি, এবং অনুদানের প্রতিশ্রুতি ছিল মাত্র ২ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

সরকারি বিশ্লেষকদের মতে, গত বছর দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বৈদেশিক ঋণের কোনো নতুন প্রতিশ্রুতি আসেনি।

চলতি অর্থবছরে ঋণ ছাড়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে ঋণ ছাড় হয়েছিল ৩৮ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, আর চলতি বছরের একই সময়ে ঋণ ছাড় হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ—৭৪ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অন্যদিকে, অনুদান ছাড়ের পরিমাণ কমে মাত্র ৯১ লাখ ৮০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে।

ইআরডি আরও জানিয়েছে, খাদ্য সহায়তা খাতের ক্ষেত্রে উভয় অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে কোনো নতুন প্রতিশ্রুতি আসেনি।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, চলতি ঋণ ও সুদ পরিশোধের উভয় চাপ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বাজেট ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত বহন করছে।

আরও পড়ুন