
হলুদ রান্নাঘরের কেবল একটি সাধারণ মসলাই নয়, এটি হলো স্বাস্থ্যকর উপাদানের এক অসাধারণ ভাণ্ডার। এর উজ্জ্বল সোনালী রং এবং স্বতন্ত্র স্বাদের পাশাপাশি, এর রয়েছে দুর্দান্ত স্বাস্থ্যগুণ। হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই কারণেই অনেক স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ রান্নার বাইরেও হলুদের চা অথবা দুধ সেবন করে থাকেন।
কিন্তু এই দুটি জনপ্রিয় পদ্ধতির মধ্যে কোনটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী? চলুন জেনে নেওয়া যাক উভয়ের উপকারিতা এবং কখন সেগুলি গ্রহণ করা উচিত।
হলুদের চায়ের উপকারিতা ও কখন খাবেন
হলুদের চা তৈরি করা হয় হলুদ গুঁড়ো বা কাঁচা হলুদ পানিতে ফুটিয়ে। স্বাদের জন্য এতে লেবুর রস, মধু বা গোলমরিচ গুঁড়ো যোগ করা যেতে পারে। এই পানীয়টি শরীরের জন্য এক প্রকার ডিটক্স পানীয় হিসেবে কাজ করে।
উপকারিতা:
- এটি শরীরকে ডিটক্স করে এবং ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
- লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
- হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে।
- শরীরের প্রদাহ কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কখন খাবেন:
সবচেয়ে ভালো ফল পেতে দিনের শুরুতে খালি পেটে হলুদের চা পান করা উচিত।
হলুদ মেশানো দুধের উপকারিতা ও কখন খাবেন
সাধারণত গরম দুধে এক চিমটে হলুদ, সামান্য মধু বা গোলমরিচ মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই ‘গোল্ডেন মিল্ক’। এটি বিশেষত জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত সেরে উঠতে দারুণ কার্যকরী।
উপকারিতা:
- দুধের ফ্যাট (চর্বি) হলুদের মূল কার্যকরী উপাদান কারকিউমিন-এর শোষণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- জ্বর, সর্দি ও কাশির উপশমে সাহায্য করে।
- শরীরের প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- ঘুম ভালো হয় এবং শরীর রিল্যাক্স করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কখন খাবেন:
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদ মেশানো দুধ পান করলে এটি ভালো ঘুম নিশ্চিত করে এবং শরীরকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
কার জন্য কোনটি বিকল্প?
যাদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে বা যারা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলেন, তাদের জন্য হলুদ মেশানো দুধের পরিবর্তে হলুদের চা একটি চমৎকার এবং কার্যকরী বিকল্প হতে পারে। অন্যদিকে, যারা রাতের ভালো ঘুম চান এবং শরীরের ব্যথা কমাতে চান, তাদের জন্য হলুদ মেশানো দুধ আদর্শ।
সূত্র : এই সময়