জুন ২৮, ২০২৫

শনিবার ২৮ জুন, ২০২৫

স্ত্রীকে ডিভোর্স না দেয়ায় স্বামীকে পিটিয়ে নাক ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর সদরের শাকিল সর্দার বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. আতাউড়ার রহমান তার স্ত্রী আখিঁ আক্তারকে ডিভোর্স না দেয়ায় অর্তকিক হামলা করে তার নাক ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বায়রা মো. শরীফ উদ্দিন, তার পিতা মাওলানা হোসাইন ও শ্বশুর হাতুড়ে চিকিৎসক মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. আতাউর রহমানের ঘরে তার স্ত্রীকে নিয়ে সালিশি বসে। এ সময় মো. আতাউর রহমানের বায়রা মো. শরীফ উদ্দিন, তার পিতা মাওলানা হোসাইন ও শ্বশুর হাতুড়ে চিকিৎসক মাসুদ মিলে তাকে জোরজবরদস্তি করে তার বউ আঁখি আক্তারকে তালাক দেয়ার জন্য। এক পর্যায়ে মো. আতাউর রহমানের উপর তারা অর্তকিত হামলা করে কিল-ঘুষি দিয়ে নাক ভেঙে দেয়। ঘরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়, কোন মামলা-মোকদ্দমা হলে তাকে জানে মেরে ফেলবে।

প্রত্যক্ষদর্শী বিলকিস আক্তার বলেন, ছেলেটা অনেক ভালো মানুষ। আমাদের বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার স্ত্রী তাকে না জানিয়ে প্রায়ই বাড়ি থেকে চলে যেতো।

মো. আতাউর রহমান জানান, আমাকে আমার বায়রা-শ্বশুড় দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে তালাক দিতে চাপ দিয়ে আসছিলো। আমি নগদ কাবিন করে বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রী কিছু দিন পর পর আমাকে না জানিয়ে কোথায় জানি চলে যায় আবার আসতো। এ নিয়ে প্রায় গন্ডগোল হতো। আমি ব্যবসায়ী মানুষ। এখন পর্যন্ত ছেরে-মেয়ে না হওয়ায় সংসার করছি কিন্তু আমার বায়রা-শ্বশুড় মিলে পারিবারিক সালিশে আমাকে মারধুর করে। আমার শরীরে নাকি গন্ধ। স্ত্রীকে তালাক না দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া। আমার স্ত্রীয়ের আগেও নাকি আরো দুইটা বিয়ে হয়েছিলো পরে তালাক দিয়ে নিয়ে এসে আমার কাছে বিয়ে দিয়েছে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন