
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস এলাকায় পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গত শনি ও রবিবার পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য এবং তিনজন আওয়ামী লীগের কর্মী বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শিলং টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত পেরিয়ে একদল দুষ্কৃতিকারী মেঘালয়ের রংদাংগাই গ্রামে প্রবেশ করে এক যুবককে অপহরণের চেষ্টা ও হামলা চালায়। এই ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় চারজনকে আটক করে। রবিবার একই এলাকা থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন: জামালপুরের জাহাঙ্গীর আলম (২৫) ও মারুফুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের সায়েন হোসেন এবং কুমিল্লার মাহফুজ রহমান। এদের মধ্যে মারুফুর রহমান নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন। রবিবার আটক হওয়া মোবারক মিয়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে আটককৃতদের শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা গেছে। একটি ভিডিওতে হিন্দিতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা শেখ হাসিনার দল করতাম। অবৈধ সরকার এ দেশে চলে এসেছে। তখন ওই আমাদের রাস্তা দেখিয়ে এ দেশে নিয়ে এসেছে। আমাদের বাংলাদেশে নিরাপত্তা…”। এর পরের কথাগুলো ভিড়ের আওয়াজে অস্পষ্ট হয়ে যায়। ভিডিওতে তিনজনের হাত বাঁধা অবস্থায় দেখা যায় এবং তাদের পরনে ছিল হাফ প্যান্ট।
দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বি. জিরওয়া জানান, রবিবার সকালে গ্রামবাসীদের সহায়তায় গিলাগোড়া গ্রাম থেকে মোবারক মিয়াকে আটক করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম শিলং টাইমস এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে বাংলাদেশের পুলিশ কনস্টেবলের একটি আইডি কার্ড, হাতকড়া, ম্যাগাজিনের কভার, পিস্তল হোলস্টার, রেডিও সেট, মোবাইল ফোন, মুখোশ, কুঠার, তার কাটার যন্ত্র ও বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছে মেঘালয়ের পুলিশ।