নভেম্বর ২১, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪

সাকমিডের গবেষণা: গুজবের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন

সাকমিডের গবেষণা: গুজবের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন
সাকমিডের গবেষণা: গুজবের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। ছবি: রাইজিং কুমিল্লা

ময়মনসিংহ জেলার ৭০ ভাগের বেশি মানুষ মিথ্যা তথ্য কি জানেন না। এতে প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জেলার সর্বস্তরের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ।

১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১১ টায় নগরীর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) নামক সংগঠনের পরিচালনায় ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিস্তার বিষয়ক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশের তিন জেলায় পরিচালিত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন সভা’ আয়োজিত হয়।

বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পের অধীনে কর্মশালাটি আয়োজনে সহযোগিতা করে স্থানীয় সুশীল সংগঠন তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম মাসুম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায় এবং তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক খন্দকার ফারুক আহম্মেদ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাকমিডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দ কামরুল হাসান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক, আইনজীবী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

সাকমিডের প্রকল্প উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলামের পরিচালিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন থেকে আরো জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাত্র ৩৯ শতাংশ নিজের একাউন্ট খুলতে পারে, ১১ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করতে জানে না। এছাড়াও মাত্র ৩২ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া তথ্য যাচাই করতে সক্ষম।

সাকমিডের গবেষণাটি সম্প্রতি দেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার মোট ৪০০ জনের ওপর জরিপ, ৩০ জনের নিবিড় সাক্ষাৎকার ও ৬টি দলগত আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।

সাকমিড বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলায় এবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্য এবং কীভাবে গুজব ছড়ায়, কারা গুজব ছড়ায়, কিধরণের গুজব ছড়ায় এবংএসব থেকে পরিত্রাণের বিষয়ে কাজ করবে।