
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় শিক্ষা খাতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে একের পর এক সাহসী ও সময়োপযোগী উদ্যোগ নিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন।
দীর্ঘ ১১ বছর পর উপজেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে শিক্ষাবান্ধব কার্যক্রম।
সরাইল উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এ কার্যক্রম সর্বশেষ হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মো. মোশারফ হোসাইন শিক্ষার মানোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, মেধাবীদের পুরস্কৃত করা এবং শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে ক্রীড়া সামগ্রী সরবরাহ।
সূত্র জানায়, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তিনি প্রায়শই উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে হাজির হন। এমনকি দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তাঁর নজরদারির বাইরে নয়। পরিদর্শনের সময় তিনি কখনও কখনও পাঠদানে সরাসরি অংশও নেন।
শুধু একাডেমিক উন্নয়ন নয়, যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করতে খেলাধুলার দিকেও জোর দিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রী।
এবিষয়ে ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, “সরাইলের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আমি একাধিক উদ্যোগ নিয়েছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিদর্শন করছি এবং সার্বিক খোঁজখবর রাখছি। শিক্ষার্থীরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য।”
তাঁর এসব পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই আশা করছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে সরাইল উপজেলায় শিক্ষার মানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসবে।