
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আজ বুধবার মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিশেষ সমাবর্তনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সামাজিক ব্যবসা প্রসারে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে যুবসমাজের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন জাতীয় পরিচয়ে নতুন অর্থ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য নতুন আশা জাগিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যাচ্ছি-যেখানে শাসনব্যবস্থা ন্যায়সঙ্গত, অর্থনীতি সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিটি মানুষ সাফল্যের ন্যায্য সুযোগ পাবে। আমাদের সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘সংস্কার আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমাদের স্পষ্ট লক্ষ্য, বিস্তারিত পরিকল্পনা এবং দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে এগিয়ে যাওয়ার। একটি শক্তিশালী ও সহনশীল বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে উদ্যোক্তাদের সহায়তা, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বেশি বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জন্যও কঠোর পরিশ্রম করছি-যাতে ক্ষমতা জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিদের হাতে হস্তান্তর করা যায়।’
এ সময় অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর তুয়াংকু মুহরিজ ইবনি আলমারহুম তুয়াংকু মুনাওয়ির; নেগেরি সেম্বিলান দারুল খুসুস-এর তুঙ্কু আমপুয়ান বেসার, তুঙ্কু আইশাহ রোহানি বিনতি আলমারহুম তেংকু বেসার মাহমুদ; ইউকেএম-এর প্রো-চ্যান্সেলর তুঙ্কু আলি রেদাউদ্দিন ইবনি তুয়ানকু মুহরিজ; প্রো-চ্যান্সেলর তান শ্রী দাতুক রাফিয়া সালিম এবং মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী দাতো’ সেরি দিরাজা ড. জাম্ব্রি আবদ কাদিরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।