অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক পরিচর্যায় মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায়। তবে উপযুক্ত বাজারদর না থাকায় মুলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ফলে বাম্পার ফলনের পরও মুখে হাসি নেই চান্দিনার মুলা চাষিদের।
জমি থেকে মুলা উত্তোলন করে বাজারজাত করা পর্যন্ত যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হয়, মুলা বিক্রি করে সেই টাকা উত্তোলন করতেই অনেক চাষিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান একাদিক চাষি। ৭০-৮০ টাকা কেজি দরের মুলা এখন এক টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে না। মুলার মূল্য না থাকায় ‘কাঙ্ক্ষিত’ এ ফসল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। যার ফলে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে মুলা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বর্ষায় জেলার বেশির ভাগ জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আগাম মুলা ও ফুলকপি চাষাবাদ বেশি শুরু করে এই জেলার কৃষক। মৌসুমের শুরুতে বেশি লাভবান হলেও এক মাসের ব্যবধানে যারা মুলা চাষাবাদ করেছেন, তাঁরাই পড়েছেন বিপাকে। মৌসুমের প্রথমে এক শতক জমির মুলা বিক্রি হয়েছে চার-পাঁচ হাজার টাকায়। আর এক মাসের ব্যবধানে এক শতক জমির মুলার দাম ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ‘চান্দিনা উপজেলার ৭০ হেক্টর জমিতে মুলার চাষাবাদ হয়েছে। প্রথম দিকের অন্তত ২০ হেক্টর জমির মুলা বিক্রিতে লাভবান হয়েছেন কৃষক। পরবর্তী অন্তত ৫০ হেক্টর জমির মুলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।’
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার চান্দিনার থেকে নিমসার বাজারে আসা মুলা চাষি রহিম মিয়ার সাথে কথা হয় রাইজিং কুমিল্লার। তিনি জানান, ‘তিনি এক কানি জমিতে মুলা চাষ করেছেন। যা এখন বিক্রির উপযুক্ত সময়। তবে দাম না পাওয়াই ক্ষেতেই ফেলে রেখেছেন।’