
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পবিত্র রমজান আসলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমান ব্যবসায়ীরা। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। যেখানে রমজান মাস আসলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন বেড়ে যায় ৩-৪ গুণ। এরই অংশ হিসেবে রোজার বাকি আর হাতে গনা কয়েকদিন। এরই মধ্যে লেবুর দাম বেড়ে আকার ভেদে হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। তার মানে এক পিস লেবুর দাম এখনই ১০ টাকার উপরে গড়ে পড়ছে!
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার, টমছম ব্রিজসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে ইফতারের শরবতের জনপ্রিয় অনুষঙ্গ লেবুর দাম রোজার আগেই বেড়ে যাওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
তবে শুধু লেবু নয় বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে।
নগরীর রাজগঞ্জে বাজার করতে আসা জাহানারা বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আজ রোজার বাজার করতে এসেছি। এখন লেবু কিনতে এসেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ছোট সাইজের লেবুর হালি ৪০ টাকা চাচ্ছে। আর সাইজে বড়গুলো ৫০ টাকা চাচ্ছে হালি। বাধ্য হয়ে ৫০ টাকায় এক হালি নিতে হলো। দাম কমলে আবার নেবো। রমজান মাসজুড়ে লেবুর বাড়তি দাম থাকলে শরবতের ক্ষেত্রে লেবুর বদলে অন্য উপাদানের শরবতে প্রাধান্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টমছম ব্রিজ বাজারের এক বিক্রেতা জানান, ‘রমজানে লেবুর শরবত তৈরির জন্য চাহিদা বেশি থাকায় বরাবরই এর দাম বাড়তি থাকে। এবার আগেভাগেই দাম বেড়েছে।’
এছাড়া রাজগঞ্জ বাজারের আড়তদাররা বলছেন, যেখান থেকে আনা হচ্ছে সেখানেই দাম বেশি। অন্যদিকে মৌসুম না হওয়ায় দাম আরও বেড়েছে। এ অজুহাতেই দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করেন এ খুচরা বিক্রেতারা।
অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে স্বস্তি বিরাজ করলেও মৌসুম শেষ হয়ে আসায় কয়েক পদের তরিতরকারির সরবরাহ কমে এসেছে। এতে সবজির দামও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিম, বেগুন, ফুল কপি ও বাঁধা কপি।
সরেজমিনে বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, শিম সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, বেগুন সর্বোচ্চ ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। মুলার কেজি ৩০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০/৬০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। লাউ প্রতিটি আগের মতোই ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।