শুধু খাবার নয়, রাতের কিছু অভ্যাসও হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, ভুল খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ম আর মানসিক চাপ ডেকে আনছে হার্টের অসুখ। তাই বিশ্বব্যাপী বাড়ছে হার্টের অসুখ।
আসুন জেনে নিই, হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে রাতের কোন অভ্যাসগুলোর পরিবর্তন আনবেন।
ঘুমের গুরুত্ব: একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের রাতে দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। রাতে ৭ ঘণ্টার বেশি সময় ঘুমালে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। এতে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতাও কমবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: যার যত ওজন বেশি, তার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তত বেশি। রাতে ভারী খাবারের কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে ওজন বাড়তে পারে। সুস্থ থাকার জন্য রাতের প্রথম ভাগে হালকা স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিন।
রাতের ডায়েট: ওজন কমানোর জন্য রাতে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দিন। এবং রাতে খাবার পরিমাণেও কম খান। তবে রাতের খাবার অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে শেষ করবেন।
মানসিক স্বাস্থ্য: অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে হার্টের জটিলতা বাড়তে পারে। আমরা অনেক কারণে মানসিক চাপে থাকি। আর এই মানসিক চাপ সরাসরি হার্টের উপরে প্রভাব বিস্তার করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই রাতে নিজেকে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখুন।
প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন: রাতে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করবেন না। অন্তত ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে নিজেকে মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি থেকে দূরে থাকুন।
ধূমপান পরিহার করুন: ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম বড় কারণ।
শীতল ঘর: ঘুমের জন্য প্রয়োজন শীতল ঘর। যা আপনার ঘুম আরামদায়ক করবে। অনিয়মিত ঘুমের কারণে হার্টের অসুখ বাড়তে পারে। অনিয়মিত ঘুমের কারণে হার্টের অসুখ বাড়তে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে স্ট্রোক, হার্টের সমস্যা। তাই দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে মনোযোগ দিন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া