মে ২, ২০২৫

শুক্রবার ২ মে, ২০২৫

যেকোনো পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন: কনসাল জেনারেল

China will stand by Pakistan in any situation: Consul General
ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে আবারও পাকিস্তানের প্রতি নিজেদের দৃঢ় সমর্থন জানাল চীন। বেইজিং স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা ইসলামাবাদের পাশে থাকবে।

লাহোরে নিযুক্ত চীনের কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল আজ বৃহস্পতিবার এই খবরটি প্রকাশ করেছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার সময় ঝাও শিরেন দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, ‘চীন অতীতেও পাকিস্তানের পাশে ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বিশেষ করে নিরাপত্তা, কৌশলগত সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীন সর্বদা পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে।’

তবে একইসঙ্গে তিনি শান্তির ওপর জোর দেন এবং বলেন, যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। বরং ভারত ও পাকিস্তানের উচিত শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনার টেবিলে বসা এবং কূটনৈতিক উপায়ে একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা।

ঝাও শিরেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন। এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় পিপিপির কেন্দ্রীয় পাঞ্জাব শাখার অর্থ সম্পাদক আহমাদ জাওয়াদ রানার বাসভবনে। বৈঠকে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

চীনা কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বের ভিত্তি বহু পুরনো। এই সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতা, অর্থনৈতিক উন্নতি এবং নিরাপত্তা কাঠামোর ওপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব কেবল রাজনৈতিক层面ই আবদ্ধ নয়, এটি হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত একটি সম্পর্ক। চীনের প্রতিটি নাগরিক পাকিস্তানকে ভালোবাসে এবং পাকিস্তানিরাও চীনকে একইভাবে সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে থাকে।’

বৈঠকে উভয় পক্ষই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার জন্য বহুমুখী সহযোগিতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে।

আলোচনা শেষে উভয় পক্ষই এই অটুট বন্ধুত্ব বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। ঝাও শিরেন বলেন, ‘পাকিস্তান শুধু আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়, বরং এক পরীক্ষিত বন্ধু। পারস্পরিক সম্মান ও গভীর বোঝাপড়াই আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি।’

আরও পড়ুন