
বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে তারকা ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ারে মুশফিকুর রহিম ইতোমধ্যে ৯৮টি ম্যাচ খেলেছেন। আর মাত্র দুটি টেস্ট খেললেই প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ‘সেঞ্চুরি’ করার ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যাবেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এই মাইলফলক কেবল মুশফিকুর রহিমের ব্যক্তিগত নয়, পুরো দেশের ক্রিকেটের জন্যই হবে এক ঐতিহাসিক কীর্তি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি আগেই ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই সূচিতেই নিশ্চিত হয়েছে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট ম্যাচের ভেন্যু। আগামী ১৯ নভেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটিই হতে চলেছে তাঁর শততম ম্যাচ। দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আইরিশরা আগামী ৬ নভেম্বর বাংলাদেশে আসবে। উল্লেখ্য, এখনও বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেনি বিসিবি, যা চলতি সপ্তাহেই জানানোর কথা রয়েছে।
সিরিজের প্রথম টেস্টটি শুরু হবে ১১ নভেম্বর, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর দল ঢাকায় ফিরবে এবং মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৯ নভেম্বর শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সব ঠিক থাকলে এটিই হবে মুশফিকের শততম টেস্ট। এই বিশেষ ম্যাচটিকে ঘিরে বড় ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘একশো টেস্ট ম্যাচ খেলা বিরাট অর্জন, আমাদের দেশে এটাই প্রথম হবে এবং এটা সেলিব্রেট করা উচিত। শুধু ক্রিকেট বোর্ড সেলিব্রেট করবে তা নয়, আমি মনে করি যারা ক্রিকেট অনুসরণ করেন তারাও সবাই সেলিব্রেট করবেন।’
এখন পর্যন্ত ৯৮টি টেস্টে ১২টি সেঞ্চুরি ও ২৭টি ফিফটির সাহায্যে ৩৮.১০ গড়ে ৬ হাজার ৩২৮ রান করেছেন ৩৮ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ম্যাচ খেলার দিক থেকে তাঁর পরেই আছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক (৭৩ ম্যাচ)। এরপর আছেন সাকিব আল হাসান (৭১), তামিম ইকবাল (৭০) এবং মোহাম্মদ আশরাফুল (৬১) টেস্ট খেলেছেন।
টেস্ট সিরিজ শেষে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল চলে যাবে চট্টগ্রামে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) ২৭, ২৯ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।










