
কুমিল্লায় মুরাদনগরে মা ও তাঁর দুই সন্তানকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই দিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে নিহত রোকসানা আক্তার রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৬৩ জনকে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করেন।বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. সবির আহমেদ (৪৮) এবং মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।
পুলিশ শুক্রবার বিকেল ৫টার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহত তিনজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর রাত সাড়ে ৮টার পর পুলিশি পাহারায় নিহতদের বাড়ির পশ্চিম পাশে কড়ইবাড়ি কবরস্থানে মরদেহগুলো দাফন করা হয়। তবে, জানাজায় হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ বা আত্মীয়-স্বজন কেউই অংশগ্রহণ করেননি।
বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, নিহত তিনজনের মরদেহ দাফনের পর রাতে রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসী একটি মোবাইল ফোন চুরি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতরা হলেন কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)। ওই হামলায় রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৫) আহত হন এবং বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।