আরব সাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ দ্রুত শক্তি সঞ্চার করে মারাত্মকভাবে ধেয়ে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান উপকূলে। এটি ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি ধারণ করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় দুই প্রতিবেশী দেশের উপকূলীয় এলাকায় জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপকতা বেশ তীব্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেটি সামাল দিতে প্রস্তুত প্রশাসন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে তার।
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ে’র প্রভাবে মুম্বাইয়ে ফুঁসছে সমুদ্র। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জুহুর সমুদ্রসৈকতে স্নানে নেমে তলিয়ে যায় ছ’জন। তাদের মধ্যে দু’জনকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তবে বাকি দু’জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
গুজরাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত প্রশাসন। সোমবারই একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন তিনি।
বর্তমান গতিপথ বজায় থাকলে বুধবার (১৪ জুন) দুপুর নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ গুজরাটের কুচে এবং পাকিস্তানের করাচির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু করেছে ভারত সরকার। গুজরাট ছাড়াও কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও লাক্ষাদ্বীপের জেলেদের সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর।
অন্যদিকে পাকিস্তানের করাচিতে ‘ক্লাউডবার্স্ট’ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ। এজন্য উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।