ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশন শেষে যা বললেন ‘বাংলাদেশ অধিনায়ক’

Rising Cumilla - Nigar Sultana
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ দল বড় আশা নিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল। তবে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। চার খেলায় কেবল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় পেয়েছিল টাইগ্রেসরা।

অন্য ম্যাচগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আশা জাগালেও, বাকি দুই ম্যাচে তারা বড় ব্যবধানে হেরেছে। সবশেষ গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে শেষ হলো বিশ্বকাপ যাত্রা।

প্রোটিয়াদের কাছে ৭ উইকেটে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে শারজাহর উইকেটের পার্থক্য খুব একটা ছিল না। স্পিন সহায়ক উইকেট ছিল। স্পিনাররা ভালো করেছে। ব্যাটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ভেন্যু তাই কোনো কিছু নয়। দল হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ভেন্যুকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এটা অজুহাত হবে।’

পুরো বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছিলেন ব্যর্থ। হতাশাজনক বিদায়ের পর তাই ব্যাটারদেরই কাঠগড়ায় তুললেন জ্যোতি, ‘সমস্যাটি খুবই দৃশ্যমান যে, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ধুঁকছি। যদি পাওয়ার প্লেতে আমরা ভালো শুরু পাই, তাহলে মিডল অর্ডারে ধুঁকতে হয় না। কখনও কখনও সেভাবে শেষ করতে পারি না, যেভাবে করা উচিৎ। অনেক প্রশ্ন নিয়েই তাই আমরা যাচ্ছি। সামনের পথচলায় প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে আমাদের।’

নিজেদের সামগ্রিক দিক তুলে ধরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘বোলাররা ভালো করেছে, ব্যাটাররা রান করতে পারেনি। ইংল্যান্ড ১১৯ রান করেছে, আমরা সেটা তাড়া করতে পারিনি। এটা তো আমাদেরই ব্যর্থতা। এসব পর্যায়ে আসলে ক্রিকেটারদের মানসিক দিকটা আরও শক্তিশালী হওয়া উচিৎ। দল যথেষ্টই অভিজ্ঞ বলব আমি। তবে এরকম টুর্নামেন্টে এসে যদি দলীয় প্রচেষ্টা না থাকে, তাহলে সেটা ম্যাচ জেতার দিকে যায় না। দুয়েকটি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এত বড় পর্যায়ে এসে ম্যাচ জেতায় না।’

নিজেদের শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৬ রান তোলে। সোবহানা মোস্তারি সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৩৮ এবং ৩৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন জ্যোতি। পরে তাজমিন ব্রিটসের ৪১ এবং অ্যানেকি বখের ২৫ রানে ভর করে আফ্রিকান মেয়েরা ৭ উইকেটের বড় জয় নিশ্চিত করে।