নভেম্বর ২৩, ২০২৪

শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্ষমতা নিতে চায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা

Begum Rokeya University, Rangpur
ছবি: প্রতিনিধি

বর্তমান পরিস্থিতিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা নিতে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আট দফা দাবি জানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়েকেরা। পরে প্রশাসনিক ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় অন্যতম সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ।

প্রথমে তারা ৮ দফা দাবি জানায়। তাদের দাবিগুলো হলো—

১. উপাচার্য তার যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করবে এবং একজন যোগ্য এবং মেরুদণ্ড বিশিষ্ট ব্যক্তি তার স্থলাভিষিক্ত হবে।

২. প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোস্টবডি, বহিরাঙ্গন ও ছাত্র পরামর্শক বিভাগসহ দায়িত্বরত যাদের মদদ ও অবহেলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

৩. সকল লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করে সুষ্ঠু নেতৃত্ব চর্চা ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গঠনের লক্ষ্যে অতিদ্রুত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৪. শহীদ আবু সাঈদ এর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, ১ নং গেইটের নাম শহীদ আবু সাঈদ তোরণ, পারিবারিক আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বার্থে পরিবারের এক জনকে চাকরি প্রদান করতে হবে। একই প্রেক্ষিতে অদূর ভবিষ্যতে অডিটোরিয়াম তৈরির যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়ে সেটির নামকরণ শহীদ আবু সাঈদ অডিটোরিয়াম করার জোর দাবী জানানো হলো।

৫. আবু সাঈদ হত্যার সাথে জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধীদের শনাক্ত করে, তাদের যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. নিরস্ত্র-নিরাপরাধ আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার সাথে জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তাদের বরখাস্তসহ, হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মী-ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং যথাযথ তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অতি সত্তর সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৭. মেধা, আর্থিক অস্বচ্ছলতার ভিত্তিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা প্রদান করতে হবে, অবৈধভাবে সিট দখলকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় না দিয়ে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।

৮. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কোন রকমের একাডেমিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক বা আইনিভাবে হেনস্তা করা যাবে না এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা আন্দোলনে আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে, যেহেতু এই মুহুর্তে একটি প্রশাসনিক শূন্যাবস্থা বিরাজ করছে সেজন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হওয়ার জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে সমন্বয়কারীদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত করব।

তিনি আরও জানান, এটি আমাদের বর্তমান সিদ্ধান্ত, সিদ্ধান্ত যদি পরিবর্তিত হয় সেটি আমরা জানিয়ে দিব।

এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও প্রধানের দায়িত্বে থাকা ছয় শিক্ষক গতকাল পদত্যাগ করেন।পদত্যাগকারীরা হলেন, প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলাম, পরিবহন পুলের পরিচালক ড. কামরুজ্জামান, বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের দপ্তরের পরিচালক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী, ছাত্র উপদেষ্টা ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, সেন্ট্রা