দুবাইয়ের শাসকের কন্যা শেখা মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতোম তার স্বামী শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাকতোমকে তালাক দিয়েছেন। বিবাহবিচ্ছেদের এই ঘোষনা তিনি দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুবাই রাজকন্যা তার ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে লেখেন, প্রিয় স্বামী, যেহেতু আপনি অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে ব্যস্ত আছেন, তাই আমি এতদ্বারা আমাদের তালাক ঘোষণা করছি। আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি, আমি আপানা কে তালাক দিচ্ছি এবং আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি। নিজের যত্ন নেবেন। আপনার সাবেক স্ত্রী।
এদিকে খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই সোশ্যা ল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় তুলেছে। অনেকেই লক্ষ্য করেছেন যে, এই দম্পতি একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছেন এবং নিজেদের প্রোফাইল থেকে একে অপরের সমস্ত ছবিও মুছে দিয়েছেন। কেউ কেউ অনুমান করেছিলেন যে, এই জুটি একে অপরকে ব্লক করেছেন। আবার অনেকে ভাবছেন, শেখ মাহরার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কি-না।
দুবাই রাজকন্যার ওই পোস্টের কমেন্টে একজন লিখেছেন, ‘খারাপ সংবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি গর্বিত, আপনার সিদ্ধান্তের জন্য।
অপর এক ব্যবহারকারী রাজকন্যাকে তার সাহসিকতার জন্য প্রশংসা করে লি খেছেন, ‘এটি জীবনের একটি পর্যা য় এবং এটি ভালো-মন্দ উভয়ের মধ্য দিয়েই চলতে থাকবে এবং জীবন কারও জন্য থেমে থাকবে না।’
অন্য একজন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, কিন্তু ডিভোর্সতো স্বামীর পক্ষ থেকে হবে, তাই না? স্ত্রীর তো স্বামীকে তালাক দেওয়ার সুযোগ নেই?
উল্লেখ্য, শেখ মাহরা ও শেখ মানারের মধ্যে বিয়েটা অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের মে মাসে। বিয়ের ১২ মাসের মাথায় এই দম্পতি তাদের প্রথম কন্যা সন্তানকে স্বাগত জানায়। শেখ মাহরা সে সময় তার সন্তানের জন্ম দেওয়ার বিষয়টিকে ‘জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন। পাশাপা শি তখন একটি ছবিতে তার স্বামী শেখ মানাকে তাদের সন্তানকে কোলে নিয়ে আদর করতেও দেখা যায়।