তথ্য প্রযুক্তি খাতে অস্ট্রেলিয়াকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া আগামী ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় দেশটির পররাষ্ট্র দফতরে বুধবার ২৭ নভেম্বর দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক এ্যারেঞ্জমেন্টের আওতায় গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের অনুষ্ঠিত তৃতীয় সভায় এ সব কথা উঠে আসে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান এবং অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের প্রথম সহকারী সচিব সারা স্টোরি। এসময় উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জর্জ মিনা।
সভায় ট্রেড পলিসি, কৃষি, শিক্ষা, বিনিয়োগ, পোশাক শিল্প, জ্বালানি ও তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
আগামী ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত এসময় পুনর্ব্যক্ত করেন ডেপুটি সেক্রেটারি জর্জ মিনা।
বৈঠকে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে অস্ট্রেলিয়াকে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন ফল আমদানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এ সময় কৃষি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও জোর দেয়া হয়। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে অস্ট্রেলিয়ার উল ও কটন ব্যবহারের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া আগ্রহী। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। ভবিষ্যতে দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের বিষয়ে এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের চতুর্থ সভা আগামী বছর একই সময়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।