কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও কেন্দ্রীয় খেলা মাঠ সংলগ্ন পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটেছে। আজ শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে ঐ পাহাড়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের কাছে লালন চত্বর নামে পরিচিত ঐ পাহাড়ের বেশির ভাগ আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। কোথাও ছনের মধ্যে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে আবার কোথাও আগুন নিভে বিবর্ণ কালো রূপ ধারণ করেছে।
এদিকে সদর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস প্রায় ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আগুন নির্বাপণ কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা স্টেশন অফিসার মীর মোহাম্মদ মারুফ জানান, আনুমানিক ১২:১০ মিনিটে আমরা খবর পাই। খবর পাওয়ার সাথে সাথে দুইটি গাড়ি নিয়ে ঘটনা স্থলে চলে আসি। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় বাতাসের কারনে আগুনের স্পার্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা বিশ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিভাতে সক্ষম হই।
তিনি বলেন, তদন্ত ছাড়া আগুন লাগার কারণ বলা সম্ভব নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে বিঁড়ি-সিগেরেটের উচ্ছিষ্ট থেকে আগুন লাগতে পারে।
সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, আমরা যখনি আগুন লাগার খবর পেয়েছি তৎক্ষনাৎ চলে এসেছি এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। এদিকে সিকিউরিটি গার্ডরা ফায়ার নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে প্রাথমিক ভাবে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি।
পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আর তদন্ত ছাড়া আগুন লাগার উৎস সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়। তবে মনে হচ্ছে বিড়ি-সিগেরেটের উচ্ছিষ্ট অংশ থেকে আগুন লেগেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি বসে এ নিয়ে আলোচনা করবো।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধু ও দত্ত হল সংলগ্ন পাহাড়ে কয়েকবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। এরপর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জানানো হয়নি।