রবিবার ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

ফিলিস্তিনের কণ্ঠস্বর মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে নাদিন আয়ুব

বিনোদন ডেস্ক

Rising Cumilla - Nadeen Ayoub
নাদিন আয়ুব/ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

আগামী নভেম্বরে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মঞ্চে নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছেন ২৭ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি সুন্দরী নাদিন আয়ুব। নাদিন আয়ুব ফিলিস্তিনের প্রথম প্রতিযোগী হিসেবে বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

প্রচলিত ধারার সুন্দরীদের থেকে নাদিন আয়ুব বেশ আলাদা। তিনি কেবল একজন মডেল নন, তিনি সুস্থ জীবনযাপন ও টেকসই উন্নয়নের একজন দৃঢ় প্রবক্তা। এই কঠিন সময়ে তিনি ফিলিস্তিনের মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে দাঁড়াতে চান বিশ্বমঞ্চে।

নাদিন আয়ুবের মানবিক বার্তা:

নিজের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গাজার এই কঠিন সময়ে আমি ফিলিস্তিনের মানুষের কণ্ঠ হয়ে দাঁড়াতে চাই। আমি সেই নারীদের প্রতিনিধি যারা প্রতিকূলতার মধ্যেও দৃঢ় থাকে। আমি সেই শিশুদের প্রতিনিধি যাদের চোখে এখনো আশার আলো জ্বলে। আমরা শুধু কষ্টের প্রতীক নই, সাহস, আশাবাদ আর টিকে থাকার প্রতিচ্ছবি হয়ে বিশ্বে ছড়াতে চাই।’

ফিলিস্তিনের প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগী নাদিন আয়ুবের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিশ্ববিখ্যাত প্রসাধনী ব্র্যান্ড হুদা বিউটি। এই সহযোগিতা বর্তমানে সৌন্দর্যের দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সম্প্রতি হুদা বিউটি তাদের সামাজিক মাধ্যমে এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পোস্টটিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গর্বিত যে প্রথম ফিলিস্তিনি মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগী নাদিন আয়ুবকে সমর্থন করছি। এই মুহূর্ত শুধু এক প্রতিযোগিতার নয়, এটি শক্তি, গর্ব ও প্রতিনিধিত্বের প্রতীক।’

এই অংশীদারিত্বকে বিশেষত্ব দিয়েছে নাদিন ও হুদা বিউটির অভিন্ন মানবিক মূল্যবোধ। নাদিনের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ‘অলিভ গ্রিন একাডেমি’ এবং ‘সাইয়িদাত ফিলাস্তিন ফাউন্ডেশন’ পরিবেশ, শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করে।

অন্যদিকে, ইরাকি বংশোদ্ভূত মার্কিন উদ্যোক্তা ও হুদা বিউটির প্রতিষ্ঠাতা হুদা কাটান শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের পক্ষে দৃঢ়ভাবে কথা বলেছেন। ভোগ আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার ফিলিস্তিনপন্থি অবস্থানের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘একবার যখন তুমি গাজা ও ফিলিস্তিন সম্পর্কে জানবে তখন আর চোখ ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।’

তিনি আরও জানান, ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলার কারণে তাকে নানা ভয়-ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি যখন ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলা শুরু করি তখন অনলাইনে ভয়াবহ বার্তা পেতাম। বলা হতো, আমি সব হারাবো। ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে আমি অনেক দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। একসময় নিজেকে সামলে নিয়ে ঠিক করি, সত্যকে আর লুকাবো না।’

আরও পড়ুন