নভেম্বর ৬, ২০২৪

বুধবার ৬ নভেম্বর, ২০২৪

প্রেমের টানে সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ‘তুরস্কের তরুণ’

Rising Cumilla - A young man from Turkey has crossed 4,500 km for love in Bangladesh
ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসেছেন মুস্তোফা ফাইক নামে তুরস্কের এক যুবক। সম্প্রতি তুরস্কের এই যুবকের শাহজাদপুরে আসার এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের তরুণী মল্লিকাকে বিয়েও করেছেন তিনি।

বুধবার (৬ নভেম্বর) শাহজাদপুরের তরুণী মল্লিকা তার এ বিয়ের বিষয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।

এ বিষয়ে মল্লিকা বলেন, ‘ইনস্ট্রাগ্রামে ৩ বছর আগে আমার সঙ্গে পরিচয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আমাদের। এরপর ভালোবাসার টানে মুস্তোফা ফাইক আমার সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসেন এই মফস্বল পল্লীতে। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে মুস্তোফা ফাইককে বিয়ে করি আমি।’

জানা গেছে, মল্লিকা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের দলিল লেখক কামরুজ্জামান মানিকের মেয়ে। ৩ বছর আগে ইনস্ট্রাগ্রামে তার ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবি দেখে পছন্দ করে ফেলেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। এরপর থেকে শুরু হয় ভাবের আদান প্রদান। তারপর শুরু হয় প্রেম। দীর্ঘদিনের প্রেমের পরিণতি দিতে সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত ২ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক।

অবশেষে গত সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে দুই পরিবারের সম্মতিতে মুস্তফা এবং মল্লিকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ভিসা প্রসেসিং শেষ হলে তুরস্কে পাড়ি দিবেন এই নব দম্পতি।

এ বিষয়ে মুস্তফা ফাইক বলেন, ‘বাংলাদেশে এসেছি প্রেমের টানে। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেছি মল্লিকাকে। আমাকে বিয়ে করতে পেরে মল্লিকা আনন্দিত ও উৎফুল্ল। বাংলাদেশের মানুষের মন অনেক ভালো। সবাই আতিথিয়তায় আমি মুগ্ধ। এ দেশের প্রকৃতি অনেক সুন্দর।’

এ দিকে মল্লিকা তিন বছরের সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পাওয়ায় খুশিতে আত্মহারা। ভিসা প্রসেসিং শেষ হলেই পাড়ি জমাবেন তুরস্কে।

মল্লিকার মা ও স্বজনেরা এমন বিয়ে মেনে নিয়ে তারাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে এলাকাবাসী এ খবর পেয়ে দলে দলে ভিড় জমাচ্ছে মল্লিকার বাড়িতে। এলাকার সকলেই বিদেশি জামাই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা।