পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। গত এক মাসে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দাম দিতে পারবে বলে নির্ধারণ করা আছে। এর আগে গত বছরের জুলাই ও আগস্টে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল।
প্রবাসী আয়সংক্রান্ত পরিসংখ্যান নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। মার্চ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। আর ফেব্রুয়ারি তুলনায় আয় বেশি এসেছে ২৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। এই আয় জানুয়ারির তুলনায় ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার বা প্রায় ২০ শতাংশ কম ছিল।
জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯৬ কোটি ডলার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি চেয়ে গত ফেব্রুয়ারি আয় বাড়ে ৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছিল ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মার্চ মাসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৫ কোটি ৬১ লাখ ডলার, সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ২৩ লাখ ডলার এসেছে। এরপরই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসে ১০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার ও অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
ব্যাংকাররা মনে করেন, সামনে বৈশাখ ও দুই ঈদের মতো উৎসব আছে। ফলে চলতি মাসেও ভালো অঙ্কের প্রবাসী আয় দেশে আসবে বলে আশা করছেন তাঁরা। রেমিট্যান্স ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে উৎসাহিত করতে সরকার প্রণোদনার হার দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এখন আড়াই শতাংশ করেছে। প্রবাসী আয় সংগ্রহের শীর্ষ তালিকায় যোগ হয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নাম।
