সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

‘পৃথিবীর ফুসফুস’ আমাজন রক্ষায় ৮ দেশ জোট বাঁধল

8 countries join forces to protect Amazon, known as the 'Lungs of the Earth'
‘পৃথিবীর ফুসফুস’খ্যাত আমাজন রক্ষায় ৮ দেশ জোট বাঁধল। ছবি: সংগৃহীত

‘পৃথিবীর ফুসফুস’খ্যাত বিশ্বের সর্ববৃহৎ বনাঞ্চল আমাজনকে রক্ষা করতে দক্ষিণ আমেরিকান আটটি দেশ একটি জোট হিসেবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। চুক্তি সংস্থার (এসিটিও) ৮ দেশ। বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু, সুরিনাম ও ভেনিজুয়েলা।

ব্রাজিলের পারা রাজ্যের রাজধানী ও আমাজন নদীর উৎসমুখে অবস্থিত বেলেম শহরে সম্মেলনে বসে এসব দেশ। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

এককভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই রেইন ফরেস্টকে (ঘনবর্ষণ বনভূমি) ধ্বংসের এমন পর্যায়ে যাওয়া ঠেকাতে দেশগুলোর নেতারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন, যে পর্যায় থেকে ‘ফেরার কোনো পথ থাকে না’।

আট দেশের ঘোষণা অনুসারে, টেকসই উন্নয়নের প্রচার এবং নির্বনীকরণ ও আমাজন নির্মূলকরণে জড়িত সংঘবদ্ধ অপরাধীদের বিরুদ্ধে একত্রে লড়বে দেশগুলো।

দুদিনের বৈঠকটি মঙ্গলবার উত্তর ব্রাজিলের বেলেম শহরে শুরু হয়েছে। সম্মেলনে রেইনফরেস্ট রক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো একটি সাধারণ নীতি তৈরি করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা গত সপ্তাহে বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা সংরক্ষণ, নিরাপত্তা ও সীমান্ত রক্ষায় আমাজনের জন্য একটি সাধারণ নীতির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি।’ আরও বলেন, ব্যক্তিগত ব্যবসায়গুলোকে ৩ কোটি হেক্টর অবক্ষয়িত জমি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য বলা হবে।

লুলা বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়িক খাতের সঙ্গে ৩ কোটি হেক্টর অবক্ষয়িত জমিতে গাছ রোপণ করে পুনঃবনায়নের জন্য একটি নীতি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আরও যোগ করেন, এই শীর্ষ সম্মেলনে আমার উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে। সম্মেলনে বন উজাড় ও সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে কিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য ৫০ মিলিয়ন লোকের বাসস্থান নিয়েও আলোচনা করা হবে। যাদের মধ্যে শত শত আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে। আদিবাসী সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্পেস রিসার্চের গবেষক ও বায়ুমণ্ডলীয় রসায়নবিদ লুসিয়ানা গাট্টি বলেন, বন উজাড় করে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছি। আন্দিয়ান আমাজন চুক্তি অনুসারে, এটি মূল এলাকার প্রায় ১৩ শতাংশ (৩ লাখ ২৮ হাজার বর্গ মাইল) হারিয়েছে।

ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্পেস রিসার্চের গবেষক ও বায়ুমণ্ডলীয় রসায়নবিদ লুসিয়ানা গাট্টি বলেন, বন উজাড় করে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছি। আন্দিয়ান আমাজন চুক্তি অনুসারে, এটি মূল এলাকার প্রায় ১৩ শতাংশ (৩ লাখ ২৮ হাজার বর্গ মাইল) হারিয়েছে।

আমাজন থেকে কার্বন নির্গমন ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের বার্ষিক গড় তুলনায় ২০২০ সালে ১১৭ শতাংশ বেড়েছে। ব্রাজিলের জাতীয় মহাকাশ সংস্থার গবেষকদের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য পাওয়া যায়।2390[\