আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ছয়টি বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক দর্শন খুঁজতে তাদের বিষয়ে ২য় বার পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়।
এই পুনরায় ভেরিফিকেশনের আওতায় আসা বিসিএস ক্যাডারগুলো হলো- ২৮তম, ৩৫তম, ৩৬তম, ৩৭তম, ৪০তম এবং ৪১তম বিসিএস। এই বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্তদের আটটি নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্য যাচাই করা হবে, যার মধ্যে রাজনৈতিক পরিচয়, পারিবারিক পটভূমি এবং শিক্ষাজীবনে তাদের রাজনৈতিক ভূমিকার তথ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
গত ২০ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে একটি চিঠির মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় সংশ্লিষ্ট বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের জীবনবৃত্তান্ত পুনরায় যাচাই করতে হবে। এ জন্য সহকারী পুলিশ সুপার বা তদ্বপেক্ষা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারা গোপনীয়তা রক্ষা করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পুনরায় যাচাইয়ে কর্মকর্তাদের নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সচল ফোন নম্বর, ই-মেইল, ফেসবুক প্রোফাইল, টিআইএন নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বর সংযুক্ত করতে হবে। তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেশন, অধ্যয়ন বিষয় ও আবাসিক হলের তথ্য ছাড়াও শিক্ষাজীবনে তাদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য যাচাই করা হবে।
এছাড়াও কর্মকর্তার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন বন্ধুর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানার রেকর্ডও যাচাই করা হবে। প্রার্থীর কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, সেই তথ্যও প্রদান করতে বলা হয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বন্ধুদের কাছ থেকেও প্রার্থীর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।