
গ্রীষ্মের কাঠফাটা দুপুরে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি শুধু তৃষ্ণা নিবারণই করে না, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করতে পারে! গরমে শরীরকে সতেজ রাখার পাশাপাশি ঠান্ডা পানি পান করার এই নতুন উপকারিতা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সাধারণত মনে করা হয় ঠান্ডা পানি কেবল শরীরকে শীতল রাখে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, এটি শরীরের বিপাক হার বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঠান্ডা পানি পান করার পর শরীর এটিকে তার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করে। এই প্রক্রিয়াকে ‘থার্মোজেনেসিস’ বলা হয়। আর এই বাড়তি শক্তি ব্যয়ের ফলেই ক্যালরি খরচ হয়।
জার্মানির বার্লিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৫০০ মিলিলিটার ঠান্ডা পানি পান করলে প্রায় ২৫ ক্যালরি বেশি খরচ হয়। এর মানে হলো, নিয়মিত ঠান্ডা পানি পান করলে বছরে প্রায় ২ কেজি ওজন কমানো সম্ভব!
এছাড়াও, ঠান্ডা পানি পানের আরও কিছু সুবিধা রয়েছে। ব্যায়ামের আগে ঠান্ডা পানি পান করলে ক্লান্তি কম অনুভূত হয়। আবার ব্যায়ামের পর যখন শরীর থেকে দ্রুত ঘাম ঝরে, তখন ঠান্ডা পানি একদিকে যেমন তৃষ্ণা মেটায়, তেমনই শরীরকে ঠাণ্ডা করতে গিয়ে বাড়তি ক্যালরি খরচ করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখা জরুরি, ঠান্ডা পানি একা ওজন কমাতে পারে না। এটি একটি সহযোগী উপায় হিসেবে কাজ করে। সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও সতর্ক করেছেন যে, যাদের গলা বা সাইনাসের সমস্যা আছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই, এমন ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা উচিত নয়।
সূত্র : আজকাল