নভেম্বর ১৭, ২০২৪

রবিবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

পাঁচ বিশিষ্ট নারী পেলেন ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩’

Five distinguished women received 'Begum Rokeya Padak-2023'
পাঁচ বিশিষ্ট নারী পেলেন ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩’। ছবি : সংগৃহীত

নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণ এবং পল্লী উন্নয়নে অবদানের সর্বোচ্চ স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩’ পেয়েছেন পাঁচ বিশিষ্ট নারী।

আজ শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট নারী ও তাদের স্বজনদের হাতে পদক তুলে দেন।

পদকপ্রাপ্ত পাঁচ বিশিষ্ট নারী হলেন-

  • নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম (মরণোত্তর)
  • নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার
  • নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর)
  • নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার
  • পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা

পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, প্রত্যেককে চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেগম রোকেয়া নিজের স্বামীর নামে স্কুল করেছেন। সেখানে ছাত্রী পাওয়া যেত না। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করতেন। সেখানেও নানা বাধার সম্মুখীন হন। তিনি তার লেখায় উল্লেখ করেছেন, যাহা পুরুষ পারিবে, তাহা নারীও পারিবে।

আফসোস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা আফসোস রয়ে গেছে আমার, খুব ইচ্ছা ছিল একজন নারীকে আমি প্রধান বিচারপতি করে যাবো। কিন্তু আমাদের সমাজে এত বেশি কনজারভেটিভ, এগুলো ভাঙতে সময় লাগে। সেজন্য করতে পারেনি। এ আফসোসটা থেকে গেল।

তিনি আরো বলেন, বেগম রোকেয়ার সময় মুসলমান মেয়েরা ঘরে অবরুদ্ধ থাকতো। লেখাপড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে তার স্বামী সবসময় তাকে সহযোগিতা করেছেন, তার ভাই তাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি নিজের প্রচেষ্টা উর্দু, বাংলা, আরবি, ইংরেজি, শিক্ষা যেগুলো গ্রহণ করা সেগুলো তার স্বামীর কাছ থেকে শিখেছেন। স্বামীর কাছে আক্ষরিক জ্ঞান এবং বই পড়ার শিক্ষা গ্রহণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি তার ভাইয়ের কাছ থেকেও একটি অনুপ্রেরণা পান। তার স্বামীর নামে একটি স্কুল তৈরি করেন। স্কুল তৈরির পরও তাকে অনেক বাধা বিপত্তি মোকাবিলা করতে হয়। কারণ, স্বামীর নামে যে স্কুল করেছিলেন সেখানে ছাত্রী পড়ানো যেত না। তিনি নিজের বাড়ির বাইরে গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করে নিয়ে আসতেন। এটা করতে গিয়ে অনেক পরিবারের বাধা এবং অনেক প্রতিবন্ধকতা এসেছে। তিনি দমে যাননি কখনো। তার সাহসী ভূমিকা সব সময় আমরা স্মরণ করি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।