মার্চ ৭, ২০২৫

শুক্রবার ৭ মার্চ, ২০২৫

পরিবারের শুন্যতা পূরণ করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ইফতার

পরিবারের শুন্যতা পূরণ করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ইফতার
পরিবারের শুন্যতা পূরণ করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ইফতার। ছবি: প্রতিনিধি

রমজান মাস এলেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবহ বদলে যায়। পরিবার থেকে দূরে থাকা শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসকেই তাদের দ্বিতীয় বাড়ি মনে করেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসেও তার ব্যতিক্রম নয়। ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা যেন এক অন্যরকম আনন্দের পরিবেশ তৈরি করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, সংগঠন ও বন্ধুসহ অন্যান্য গ্রুপ একসঙ্গে ইফতারের আয়োজন করে থাকে। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ, পলাশতলা ও ক্যাফেটেরিয়ার সামনে বসে ইফতার করেন, আবার কেউ নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেন।

এছাড়া, শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক গ্রুপ আয়োজন করে সমবেত ইফতার। এতে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে তৈরি করে একটা উৎসব মুখর পরিবেশ। ইফতারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে এক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের এভাবে একসঙ্গে ইফতার করা শুধু খাবার ভাগাভাগি করার বিষয় নয় বরং এটি তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে, একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা ও ভালোবাসা বাড়ায়। পরিবার থেকে দূরে থাকলেও এই ইফতার আয়োজন শিক্ষার্থীদের কাছে এক আনন্দঘন মুহূর্ত হয়ে ওঠে।

ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিজ বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মো ইউসুফ আলী তাওহীদ বলেন, এই প্রথম পরিবার থেকে দূরে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ইফতার করছি। পরিবারের সঙ্গে ইফতারের যে ভালোবাসা, যত্ন আর আবেগ, সেটাই আজ বন্ধুদের মাঝে খুঁজে নিচ্ছি।

মা-বাবার হাতের রান্না মিস করছি, কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে ইফতার করাও এক অন্যরকম ভালো লাগা দিচ্ছে। এই মুহূর্তগুলো আমাদের মধ্যে নতুন এক বন্ধন তৈরি করছে, যা পরিবার থেকে পাওয়া উষ্ণতারই আরেকটি রূপ।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী অন্তরা বলেন, পবিত্র রমজান মাসে সকল মানুষেরই ইচ্ছা থাকে দিনশেষে পরিবারের সকলে একসাথে ইফতার করা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি একেবারেই ব্যতিক্রম ভাবে ঘটে । কারণ আমরা চাইলেও পরিবারের সাথে ইফতার করতে পারিনা ।

সবথেকে বেশি মনে পড়ে পরিবারের সকলের সাথে একসাথে ভাই বোন বাবা মার সাথে খুনসুটির সাথে ইফতার করা , মায়ের হাতের রান্না সবকিছু এক প্রকার মনে পড়ে কিন্তু আমরা চাইলেও সেটা পূরণ করতে পারিনা।কিন্তু এতকিছুর পরেও ক্যাম্পাসে ইফতারের ক্ষেত্রে এক ধরনের ব্যতিক্রম ভালোলাগা কাজ করে।