সোমবার ১১ আগস্ট, ২০২৫

নোয়াখালীতে শিশু হত্যার অভিযোগে সৎমা কারাগারে

নোয়াখালী প্রতিনিধি

Rising Cumilla - Arrest
প্রতীকী ছবি/সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবি কুলসুম সুমাইয়া (৩) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ ঘটনায় পুলিশ শিশুটির সৎমা শিউলি আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের নুরবক্স চাপরাশি বাড়ির থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সুমাইয়া একই বাড়ির সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমদের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া তার সৎ মা শিউলি আক্তারের (২৫) সাথে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শিউলি তার সৎ মেয়ে শিশু সুমাইয়াকে মারধর করে। এরপর তাকে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়ায়। এরপর বিকেলের দিকে ঘুমানো অবস্থায় শিশুটিকে মৃত পায় তার সৎ মা। পরে বিষয়টি তিনি তার প্রবাসী স্বামীকে জানায়। পরবর্তীতে বাসায় ডাক্তার নিয়ে আসেন। তখন ডাক্তার জানায় শিশুটি আরো আগে মারা যায়। প্রবাসী স্বামীর পরামর্শে সৎ মা একই দিন রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে সুমাইয়ার মরদেহ দাফনের জন্য স্বামীর গ্রামের বাড়ির উপজেলার খানপুর গ্রামে নিয়ে যান। পরের দিন সকালে শিশুটির মরদেহ গোসল দেওয়ার সময় তার কানে ও গলায় আঘাতের চিহৃ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। তাৎক্ষণিক তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানায়।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ৯৯৯-এ সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে তার সৎমা মেরে ফেলেছে বলে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মৃত শিশুর গলায় ও ডান কানে আঘাতের চিহৃ থাকায় সৎমা গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

ওসি আরো বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে নিহত শিশুর দাদী মারজাহান বেগম বাদী হয়ে সৎমা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে সোপর্দ করা বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

আরও পড়ুন