অক্টোবর ২৪, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ছিলেন ১ ভোটে, তিন বছর পর ৩ ভোটে জয়ী

Rising Cumilla - Abdus Sabur Pintu
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ ভোটে পরাজিত ৫নং ওর্য়াডের (ইউপি) সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুস সবুর পিন্টু (তালা প্রতীক) তিন বছর পর অবশেষে আদালতের রায়ে ১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।

জেলা নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল (ইউনিয়ন পরিষদ) আদালতের বিচারক ইফতেখার শাহরিয়ার পরাজিত এ ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীকে ৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। গত ১৫ অক্টোবর এ রায় ঘোষণা করা হয়। তবে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঘটনাটি জানাজানি হয়।

২০২১ সালের ১১ নভেম্বর জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে আব্দুস সবুর (তালা) ও মারুফ হাসান (ফুটবল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটগ্রহণ শেষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মারুফ হাসানকে জয়ী ঘোষণা করেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ আব্দুস সবুর আপত্তি তোলেন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুস সবুর পিন্টু আপত্তির কারণে ৫ বার ভোট গণনায় ১ ভোটে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হাসান রনিকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তখন ১ ভোটে পরাজিত ঘোষণা করা প্রার্থী আব্দুস সবুর পিন্টু ওই ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে পরাজিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন।

আদালতের রায়ে নবনির্বাচিত আব্দুস সবুর গণমাধ্যমকে জানান, ২০২১ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচবার গণনার পরও তাকে এক ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতের রায়কে আমলে নিয়ে নতুন গেজেটে ইউপি সদস্য হিসেবে তার নাম ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

বর্তমান ইউপি সদস্য মারুফ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। ২০২১ সালের নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ভোটসংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে ভোট গণনা করে আমাকে এক ভোটে জয়ী ঘোষণা করেছিলেন। আমি প্রায় তিন বছর ধরে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম মোবাইল ফোনে বলেন, ২০২১ সালে তিলকপুর ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী আব্দুস সবুর আদালতে মামলা করেছিলেন। আদালতে ভোট পুনর্গণনার পরাজিত আব্দুস সবুর তিন ভোট বেশি পেয়েছেন। আদালতের রায়ের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’