
আমরা প্রায়শই ত্বকচর্চা আর কেশচর্চা করে রাতে ঘুমাতে যাই। কিন্তু বাদ পড়ে যায় ঠোঁট)? তাকেও পরিচর্যা করুন! প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজেকে একটু সময় দেওয়া মানে নিজের মনকেও সময় দেওয়া।
এই সময়টুকু ঠোঁটের পরিচর্যার জন্য ব্যবহার করলে সকালে একেবারে মসৃণ ও কোমল ঠোঁটের অধিকারী হবেন আপনি, যা দেখতেও ভালো লাগবে এবং আপনার ঠোঁটও ভালো থাকবে। এতে নিজের মনকে ফ্রেশ করে ঘুমাতে যাওয়া সম্ভব হবে।
সারা দিন ধরে মুখের বাকি অংশের মতোই দূষণ, রোদ, ময়লার সংস্পর্শে আসে আপনার ঠোঁট। কিন্তু যত্নের সময়ে ঠোঁট পেছনের সারিতে পড়ে থাকে, ফলে সহজেই তা শুষ্কতার কবলে পড়ে যায়, যা সৌন্দর্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। লিপস্টিক দিয়ে সাজালেও ঠিকমতো রং বসে না ঠোঁটে। তাই সুপারিশ করা হয়, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটকে সময় দিন।
রাতে যে অভ্যাসগুলো মেনে চললে ঠোঁট থাকবে নরম ও সতেজ
চলুন জেনে নেওয়া যাক, সকালে কোমল ও মসৃণ ঠোঁট পেতে রাতে কোন অভ্যাসগুলি পালন করা উচিত:
১. আলতো করে মৃত ত্বক দূর করুন:
- হালকা স্ক্রাব দিয়ে ঠোঁটের মৃত ত্বক অপসারণ করুন।
- অথবা, মধু ও চিনি মিশিয়ে আলতো মাসাজ করে নিন। এর ফলে ঠোঁট মসৃণ হয়।
- বিশেষ টিপস: ঠোঁটে বারবার জিভ ঠেকানো বন্ধ করুন। লালা ঠোঁটকে সাময়িকভাবে ভিজিয়ে রাখে বলে মনে হলেও বাস্তবে এটি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী, ফলে ঠোঁটকে আরও শুষ্ক ও খসখসে করে তোলে।
২. পরিষ্কার ও হাইড্রেটেড থাকুন:
- রাতে ঘুমানোর আগে লিপস্টিক কিংবা লিপগ্লস অবশ্যই মুছে ফেলুন। এতে ঠোঁটে পণ্য বা রং বসে থাকলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাবে।
- ঘুমানোর একটু আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। ভেতর থেকে হাইড্রেটেড থাকলে ঠোঁট ও ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সম্ভব হবে।
- এরপর একটি পুষ্টিকর লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। যেমন— শিয়া বাটার, নারিকেল তেল কিংবা ভিটামিন ‘ই’ যুক্ত পণ্য। এতে ঘুমানোর সময়ে ঠোঁট ফাটার সম্ভাবনা থাকবে না।
৩. পরিবেশের আর্দ্রতা বজায় রাখুন:
- ঘর যদি খুব গরম হয় কিংবা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) হয়, তাহলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। এতে বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং আপনার ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয় না।
৪. পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন:
- বালিশের কভার কিংবা কুশনের কভার যেন পরিষ্কার থাকে। অপরিষ্কার কভারে সারারাত ধরে ব্যাক্টেরিয়া জমে ঠোঁটসহ মুখের ত্বকে সংক্রমণ বা জ্বালা তৈরি করতে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা









