
গত বছর ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। একরকম তলিয়ে গিয়েছিল নদী তীরবর্তী অঞ্চল। টানা কিছু দিনের ভোগান্তির পর নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে গত বছর ভয়াবহ বন্যার ক্ষত না শুকাতেই আবারও ধেয়ে আসছে বন্যা। আগামী আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর ও নেত্রকোণা জেলা এবং সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় বন্যার শঙ্কা রয়েছে। ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণের পানি উজান থেকে নেমে আসছে। পাশাপাশি শেরপুরে গত চার দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এরই মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
আবহাওয়া ডটকমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ আজ (মঙ্গলবার, ২০ মে) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর ও নেত্রকোণা জেলা এবং সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার বিভিন্ন নদীতে পাহাড়ি ঢল শুরু হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ মঙ্গলবার থেকে বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে একনাগাড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অতিক্রমের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।”
ইতিমধ্যেই শেরপুরের নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত চার দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টায় চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গত রাত ১০টায় ছিল ৩৯ সেন্টিমিটারের ওপর।
পাউবো জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি এবং উজানে অতিরিক্ত বর্ষণের কারণেই আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।