
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে একটি সফরে খেলেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এরপর থেকে তিনি আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি। দেশে শেষ টেস্ট খেলার তীব্র ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি জাতীয় দলে জায়গা পাননি, যা এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের জন্য আক্ষেপের কারণ। সাকিব আল হাসান তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টানতে চান বলে জানিয়েছেন।
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাকিব তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। অবসরের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ফরম্যাট থেকেই অবসর নেইনি।’
বাংলাদেশে ফেরা এবং দেশের মাটিতে বিদায়ী ম্যাচ খেলার প্রসঙ্গে সাকিব তার গভীর আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে বলেন, “হ্যাঁ, ১০০% (দেশে ফিরে শেষ ম্যাচ খেলতে চাই)। আমি মনে করি এটা আমার চেয়ে আমার ভক্তদের জন্যই বেশি প্রয়োজন। যদি এটা ঘটে, তবে এটা আমার ভক্তদের জন্য এবং আমার জন্য ঘটা সেরা ব্যাপার হবে।”
তবে, সাকিবের এই স্বপ্নপূরণের পথে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সম্প্রতি শেখ হাসিনার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাকিবের একটি পোস্ট তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। এর ফলে বাংলাদেশের বর্তমান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং সাকিব আল হাসানের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার জের ধরে, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, সাকিব আল হাসানকে আর কখনো জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে, যাতে সাকিব আল হাসান জাতীয় দলের হয়ে আর মাঠে নামতে না পারেন। এর ফলে দেশের মাটিতে এই অলরাউন্ডারের বিদায়ী ম্যাচ খেলার ইচ্ছা পূরণ হওয়া নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হলো।