
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি না মানলে আগামী ২৪ মার্চ থেকে একযোগে রেলপথ অবরোধ এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত গেটকিপার ও গেটম্যানরা।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রেলভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা। সেখান থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। মানববন্ধন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গত বছরের ১৮ আগস্ট রেলভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গেটকিপার ও গেটম্যানদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি যুক্তিসংগত বলে উল্লেখ করা হয় এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারির আশ্বাস দেওয়া হয়।
তারা বলেন, ‘গত বছরের ১ নভেম্বর আমাদের অফার লেটার হাতে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো দেওয়া হয়নি। বৈঠকে আমাদের বলা হয়, স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ার মতো ৪০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে পরীক্ষায় পাস করে ১ হাজার ৮৮৯ জন প্রকল্পের গেটকিপার ও গেটম্যান পদে যোগদান করেন। বর্তমানে কর্মরত ১ হাজার ৫০৫ জন। আপনারা আট বছরের অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। দ্রুত চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাসও দেওয়া হয়।’
মানববন্ধনে বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, ‘বারবার এ রকম আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নতুন কোনো দাবি তুলছি না। ১৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রেলের প্রচলিত বিধি মোতাবেক যে কোনো কর্মচারী তিন বছরের বেশি নিরবচ্ছিন্ন চাকরি করলে তাদের চাকরি সরাসরি স্থায়ীকরণ করা যায়। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমতি অনুযায়ী প্রকল্পের গেটকিপার ও গেটম্যানদের চাকরি রাজস্ব করতে আইনি কোনো জটিলতা নেই।’
বিক্ষোভকারীরা জানান, ২৪ মার্চ থেকে রেলপথে ঈদযাত্রা শুরু করবেন ঘরমুখো মানুষ। সেদিন থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর ১টার দিকেও রেলভবনের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।