জুন ২৮, ২০২৫

শনিবার ২৮ জুন, ২০২৫

ডেঙ্গুর হটস্পট দাউদকান্দি, একদিনে শনাক্ত শতাধিক

Rising-Cumilla-Daudkandi Upazila Health Complex
ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে, যার মধ্যে দাউদকান্দি উপজেলা এখন ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় এই উপজেলায় শতাধিক নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক বলে জানিয়েছেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এই উপজেলায়।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. হাবিবুর রহমান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ৩৯৭ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১০০ জনের ডেঙ্গু পজিটিভ এসেছে। গত মে মাস থেকে শুরু করে ২৬ জুন পর্যন্ত মোট ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন নারী। এই ৬ জনই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন—ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ৫ জন এবং কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ১ জন।

ডা. হাবিবুর রহমান জোর দিয়ে বলেন, চিকিৎসার চেয়ে সচেতনতা বেশি জরুরি। তিনি আতঙ্কিত না হয়ে ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তার রোধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তার মতে, বসতবাড়ির আশেপাশে থাকা যেকোনো পানির পাত্র, ফুলের টব, অব্যবহৃত ড্রাম, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা বা প্লাস্টিকের প্যাকেট—এগুলো সবই এডিস মশার প্রজননের আদর্শ স্থান। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এসব স্থানে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। নিয়মিতভাবে এসব পাত্র পরিষ্কার করতে হবে অথবা সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে, যাতে মশা ডিম পাড়ার সুযোগ না পায়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে শুক্রবার থেকে দাউদকান্দি পৌরসভার ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকাগুলোতে প্রতিদিন ১,২০০ পরিবারকে তদারকি করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন এবং পরিসংখ্যানবিদ সোহানুর রহমান।

আরও পড়ুন