
ঘূর্ণিঝড় ও টানা ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশজুড়ে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রাম থেকে এখন পর্যন্ত ৯১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৭৪ জন।
দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা জানান, বন্যায় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে স্থানীয়রা মারাত্মক ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের বরাত দিয়ে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।
আচেহ প্রদেশের তামিয়াং জেলার একটি ইসলামি আবাসিক স্কুলের শিক্ষার্থী দিমাস ফিরমানসিয়াহ (১৪) রয়টার্সকে জানান, বন্যার কারণে সে ও তার সহপাঠীরা একটানা এক সপ্তাহ ধরে হোস্টেলে আটকা রয়েছেন।
দুর্গত তামিয়াং জেলার বহু বাসিন্দা জানান, সরকারি সহায়তা কেন্দ্র থেকে খাবার ও পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের সীমাহীন কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবাও সুবিয়ান্তো কয়েক দিন আগে দাবি করেছিলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি সন্তোষজনক। তবে সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশের স্থানীয় প্রশাসন এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। দুই প্রদেশের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাৎক্ষণিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।










