পুষ্পা’ তারকা ও তেলেগু সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তারের পর ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তবে ১২ ঘণ্টা না পেরুতেই মুক্ত হয়ে এলেন আল্লু।
শনিবার সকালে জেল থেকে বেরিয়ে আল্লু অর্জুনের গলায় একটাই সুর, ‘আমি দুঃখিত, শোকাহত। আইনকে সম্মান করি, তদন্তে সহযোগিতা করব’।
শুক্রবার দুপুরে আল্লু অর্জুনকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখনও তার শরীরী ভঙ্গিমায় ‘পুষ্পা’র ছাপ। পুলিশের সামনেই স্ত্রীয়ের গালে চুমু। তারপর বিকেলে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। একইদিন জামিন পেলেও, একরাত আল্লুকে থাকতে হল জেলে।
শনিবার সকালে জেল থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে আসতেই ‘পুষ্পা’ মেজাজ আগের থেকে অনেক ঠাণ্ডা। ‘পুষ্পা’র মুকুট পাশে রেখে হাতজোড় করে আল্লু বললেন, ‘মৃতার পরিবারের প্রতি আমি ব্যথিত। গোটা ঘটনায় শোকাহত। দেশের আইনকে সম্মান করি। কথা দিচ্ছি, এই দুর্ঘটনার তদন্তে সব সাহায্য করব।’
প্রসঙ্গত, ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দ্রাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ছিল ‘পুষ্পা-২’ প্রিমিয়ার শো। প্রিমিয়ার ঘিরে থিয়েটারের বাইরে ভিড় জমাতে থাকে দর্শকরা। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। সেই সময় উপস্থিত হন অভিনেতা আল্লু অর্জুন। তাকে সামনে থেকে দেখতে দর্শকের উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পদদলিত হয়ে আহত হন রেবতী ও তার ছেলে শ্রী তেজ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রেবতীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর নিহতের স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই ঘটনার ৮ দিন পর গ্রেপ্তার হন অভিনেতা।
এদিকে আল্লুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মৃতার স্বামী ভাস্কর। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘মামলা তুলে নিতে প্রস্তুত আমি। আমি আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানতাম না। আর সেদিন পদপিষ্ট হয়ে আমার স্ত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যে ওর তো কোনও হাত নেই।’ সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডে।