
সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিজেদের মতো ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ জানিয়েছেন, তাঁরা জুলাইয়ের ঐতিহাসিক স্বীকৃতির প্রয়োজন মনে করেন এবং এই ঘোষণার জন্য জুলাইয়ের অন্যান্য অংশীজনদেরও আহ্বান জানানো হবে।
রবিবার (২৯ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান উদযাপনে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “১ জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকেই ফ্যাসিস্টের পতনের অধ্যায় শুরু হয়। এ এক বছরে আমাদের অনেক প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি রয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তাই জুলাই শহীদদের স্মরণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং আহতদের প্রতিও আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, ইতিহাস সংরক্ষণে সরকারের দায়িত্ব নিয়ে সরকারকেই স্পষ্ট করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই সনদের কথা বলা হয়েছে এবং তাঁরা আশা করেন যে সরকার ৫ আগস্টের মধ্যেই তা দেবে।
এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সারা দেশে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ১ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নাহিদ ইসলাম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে জানান, ১ থেকে ৩০ জুলাই ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করা হবে। ১৬ জুলাই ‘বৈষম্যবিরোধী শহীদ দিবস’ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা করবে এনসিপি। ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ করা হবে। ৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার মুক্তি দিবস’ উদযাপন করবে এনসিপি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে জনতার দুয়ারে যাবে জুলাইয়ের বার্তা। বাংলাদেশ পুনর্গঠনের আকাঙ্ক্ষায় সারাদেশ পদযাত্রা শেষে শহীদ মিনারে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ হবে। আমরা আসছি ৬৪ জেলায়। শহর থেকে গ্রামে। শহীদের কবরের কাছে।