জুলাই ১, ২০২৫

মঙ্গলবার ১ জুলাই, ২০২৫

জুন মাসে করোনায় ২২ এবং ডেঙ্গুতে ১৯ জনের প্রাণ গেছে

Rising Cumilla -Covid 19 and dengue
জুন মাসে করোনায় ২২ এবং ডেঙ্গুতে ১৯ জনের প্রাণ গেছে /প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

চলতি বছরের জুন মাস বাংলাদেশে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে করোনা ও ডেঙ্গু। উভয় রোগের প্রকোপই এই মাসে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে, যা মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে করোনায় ২২ জন এবং ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছরের একক মাসে সর্বোচ্চ।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি:

ডেঙ্গুর পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৬১ জন হাসপাতালে, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জনের মৃত্যু এবং ৩৭৪ জন হাসপাতালে, মার্চে কারো মৃত্যু না হলেও ৩৩৬ জন হাসপাতালে, এপ্রিলে ৭ জনের মৃত্যু এবং ৭০১ জন হাসপাতালে, মে মাসে ৩ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৭৭৩ জন হাসপাতালে, জুনে সর্বোচ্চ ১৯ জনের এবং ৫ হাজার ৯৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সবমিলিয়ে, এ পর্যন্ত ১০,২৯৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯,০৮৭ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। মোট ৪২ জন ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন।

করোনা পরিস্থিতি:

চলতি বছরে হঠাৎ করেই করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া বিশেষভাবে লক্ষণীয়। আইসিডিডিআর,বি-এর তথ্য অনুযায়ী, নতুন দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি এবং এক্সএফসি-এর বিস্তারই এই সংক্রমণের প্রধান কারণ। এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন জেএন.১-এর একটি উপশাখা। জুন মাসের প্রথম ১০ দিনে করা ১৪টি জিনোম সিকোয়েন্সের মধ্যে ১২টিতেই এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, এবং সম্প্রতি পাওয়া প্রায় সব নমুনায় এক্সএফজি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে।

জুন মাসে ১,৪০৯ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ১৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। অবাক করার মতো বিষয় হলো, চলতি বছরে করোনায় মারা যাওয়া মোট ২২ জনই জুন মাসে মৃত্যুবরণ করেছেন।

করোনা শুরুর পর থেকে দেশে এ পর্যন্ত মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার ৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৯ হাজার ৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে, করোনার নতুন এই ধরনটির সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও রোগের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে কম। তবে অসাবধানতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে ধরনটি যেকোনো সময় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তাই সবাইকে সর্বোচ্চ সচেতনতা অবলম্বন করতে এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন