কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের হত্যা মামলায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১টায় শিশু আদালত-১-এর বিচারক মোস্তফা কামাল শুনানি শেষে এই জামিন আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাহিমের আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় ছিল।
মাহিম শিশু হওয়ায় মামলা স্থানান্তর হয়েছে। এর আগে ৪ আগস্ট শুনানির দিন ছিল। কিন্তু আমরা আজ নতুন করে শুনানির জন্য আবেদন করেছি। আদালত শুনানি গ্রহণ করে জামিন মঞ্জুর করেছেন।
জানা যায়,আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি করা হয় ১৬ বছরের এই কিশোরকে। এর আগে বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মাহিমকে কারাগারে পাঠান আদালত। ছোট ভাইয়ের কোনো খোঁজ না মেলায় বুধবার (৩১ জুলাই) আলফি শাহরিয়ারের বোন সানজানা আখতার স্নেহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
এরপরই কিশোর শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
এর আগে আলফিকে আটকের বিষয়টি অগোচরেই থেকে যায় সংশ্লিষ্ট সবার।
মাহিমের বাবা মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, পুলিশ কমিশনার আমাকে ডেকেছিলেন। আমাদের আশ্বস্ত করেছেন মাহিমকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে ছেলের সঙ্গে কারাগার থেকে কথা বলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কমিশনার। কিন্তু সম্ভব হয়নি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা তাজহাট থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান বলেন, ১৭ জুলাই আমাদের তাজহাট থানায় যখন আগুন দেওয়া হয়, তখন মাহিম পিকেটিং করছিল। ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবির টিমও ছিল। ওই সময় সে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে।