বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন,’ফ্যাসিবাদের পতনের পর তাদের নেতারা ভারতে ও দুবাই পালিয়ে গিয়ে ফুর্তি করছে, আরাম-আয়েশ করছে। পালানোর সময় তাদের কোনো কর্মীকে সঙ্গে নেয়নি। এখন সেই কর্মীরাই বাড়ি থাকতে পারছে না।’
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নামে দেশে হাজার হাজার মামলা হয়েছে, তাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। ইমাম ও আলেম-ওলামাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। ঢাকায় ঘুম থেকে ওঠে দেখে চৌদ্দগ্রামে গাড়ি পোড়ানোর মামলার আসামি, এসব কিছু ফ্যাসিবাদী আমলে দেখেছি।
গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় হাসনাত আরও বলেন, দেশে একটি রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি হয়েছে। এই বিভাজনে আল্টিমেটলি লাভ তাদের যারা ভারতে পালিয়ে আছে। এই বিভাজন দূর করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে জাতির স্বার্থে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক বলেন, নেতা হতে হবে জনমুখী, ক্ষমতামুখী নয়। আপনি কোন নেতার পিছনে ঘুরবেন কাকে সমর্থন দেবেন এগুলো একটু বুঝেশুনে করবেন। নেতা যদি অত্যাচারী-নির্যাতক হয়, নেতা যদি মানুষের অধিকার হরণ করে, জমি দখল করে ওই নেতা আমাদের কোনও প্রয়োজন নেই।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, কেউ কেউ ভারতে বসে বসে গুজব ছড়াচ্ছে, আমরা নাকি দেশ থেকে পালিয়ে গেছি। দেশ থেকে পালিয়ে কোথায় আসছি, নিজের বাড়িতে আসছি। নিজের বাড়িতে আসলে কি সেটা পালানো হয়। যারা এই গুজব ছড়াচ্ছে, তারাই এখন ভারতে পালিয়ে আছে। তারা ভারতে পালিয়ে থেকে আমাদের বলছে, আমরা নাকি পালানোর জায়গা পাবো না। তারাই এখন পালিয়ে আছে আর পালিয়ে থেকে আমাদের বলছে, আমরা নাকি পালানোর জায়গা পাবো না। এটি খুবই হাস্যকর।
মতবিনিময় সভায় ধামতী ইউনিয়ন ছাত্র প্রতিনিধি জাহিদুল বাবুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বুয়েট প্রফেসর খোরশেদ আলম, দেবিদ্বার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহ্তাদির যারিফ সিক্ত, নাগরিক কমিটির নাজমুল হাসান নাহিদ, মুজিবুর রহমান, আন্দোলনে আহত হাবিবুল্লাহ বাছির প্রমুখ।