
গাজীপুর জেলায় ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জালাল উদ্দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় গিয়ে মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে কঠোরভাবে সতর্ক করে।
এ সময় সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বলেন, ২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং লাইসেন্স ছাড়া পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দ-নীয় অপরাধ। এ ক্ষেত্রে এক বছরের জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। তাই নানা মহল থেকে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে আপত্তি ওঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত হায়দরাবাদে অভিযান চালায়।
তিনি আরও বলেন, বুধবার থেকে ২০১১ সালের পশু জবাই আইনে মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। অন্যথায় বুধবার থেকে গ্রেপ্তার ও জেল জরিমানা করা হবে।
অভিযানকালে এলাকাবাসীও ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আশ্বস্ত করে এই এলাকায় আর ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য , বেশ কিছুদিন ধরে হায়দরাবাদ এলাকায় দুবাইফেরত আনম নূরুল্লাহ মামুন তার বন্ধু শফিকুল ইসলামকে নিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি প্রচলন শুরু করেন। চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকায় ২৫০ টাকা কেজির মাংস মুহূর্তেই ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি হয়ে যায়। ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত প্রকাশ পায় এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।