ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

সোমবার ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

গত দুই মাসে আরও ৬০ হাজার রোহিঙ্গা কীভাবে ঢুকল—জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

How another 60 thousand Rohingya entered in the last two months - said the foreign adviser
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে। যে কারণে ফের বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। গত দুই মাসে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির কারণেই এই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির কারণে স্থল, জলসীমাসহ সীমান্তের নানা রুট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে।

‘গত দুই মাসে বাংলাদেশে নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আর কোনো রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেব না এমন নীতিগতভাবে অবস্থান থাকলেও পরিস্থিতির কারণে কিছু করার ছিল না। ফলে সরকার ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দিয়েছে। তবে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা বিভিন্ন পথে ঢুকেছে।

তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তে প্রচুর দুর্নীতি আছে। এতে প্রচুর রোহিঙ্গা ঢুকে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে, এটা আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে। তবে আর একটি ঢল আসবে বলে আমি মনে করি না। যদিও অনেকে আশঙ্কা করছেন। এই আশঙ্কা আমাদেরও আছে। তবে সেই ঢলকে আটকানোর ব্যবস্থা করতে হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়েই।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ৫ বছর পর যেসব তরুণ রোহিঙ্গার বয়স ২০ বছর হবে, তারা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তখন আমাদের সমস্যা বেশি হবে ঠিকই, তবে সেই সমস্যা প্রত্যেকেরই হবে। এর মধ্যেই নৌকায় রোহিঙ্গারা অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংককে মিয়ানমারের সাথে সীমানা থাকা পাঁচটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ইনফরমাল কনসালটেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। সেই বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস‍্যরা সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি ফিরে আসবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী এক দশক পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাতে আঞ্চলিক সব দেশই ক্ষতির মুখে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা, অপরাধ ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ব‍্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, লাওস, চীন, থাইল্যান্ড যুক্ত ছিল।