বুধবার ২০ আগস্ট, ২০২৫

ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে ২৫ কোটি গাছ লাগাবে বিএনপি, থাকবে খাল খনন কর্মসূচিও: তারেক রহমান

রাইজিং কুমিল্লা প্রতিবেদন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে অন্তত ২৫ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া খাল খনন কর্মসূচিও পুনরায় শুরু করা হবে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনায় সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, সংবিধান কিংবা লিখিত বিধি-বিধান দিয়ে ফ্যাসিবাদ ঠেকানো যায় না। রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে যদি ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে হলে জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের যে চর্চা, এই চর্চার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র এবং জনগণ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। জনগণ রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী না হলে রাষ্ট্র এবং সরকার শক্তিশালী হতে পারে না।

ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভেদ ঘোচানোর বার্তা দিয়ে তারেক রহমান বলেছেন, একাত্তর ছিল স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ, চব্বিশ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ইতিহাসের নৃশংসতম এক ফ্যাসিস্টের পদত্যাগ এবং পলায়নের পর এখন ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তি নিজেদের মধ্যে নিত্যনতুন ইস্যু নিয়ে অহেতুক বিতর্কে লিপ্ত হওয়া শহীদদের আত্মত্যাগের অবমাননার শামিল। গণতান্ত্রিক ইনসাফভিত্তিক দেশ গড়ার মাধ্যমেই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করা এখন সময়ের দাবি।

কথার রাজনীতি বাদ দিয়ে কাজের রাজনীতিতে মনযোগী হওয়ার প্রতি জোর দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা কিংবা কথা বলার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচলিত রাজনীতির ধারার গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি কেমন হবে-সে বিষয়ে আলোকপাত করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি হবে জনগণের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি। সেটি দেশের ভেতরে হোক, বিদেশে হোক। যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়। আমাদের আরেকটি লক্ষ্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা।

আরও পড়ুন